শিরোনাম
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জামিন নিয়ে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা নিক্সন চৌধুরীর

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় নিয়মিত জামিন পেয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেওয়ার পর গতকাল ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া নিক্সন চৌধুরীকে  নিয়মিত জামিন প্রদান করেন। জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচন বাতিল করেছে। এ নিয়ে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। আর নির্বাচন বাতিল করায় তার বিরুদ্ধে করা মামলার গুরুত্ব হারিয়েছে কিনা তা বিজ্ঞ আদালত বিবেচনা করবে।

গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। এ নিয়ে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় মামলা করেন জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচনী কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম। মামলা দায়েরের পর গত ২০ অক্টোবর হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন নিক্সন চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকালে জামিন নিতে ফরিদপুরের আদালত প্রাঙ্গণে আসেন নিক্সন চৌধুরী। এ সময় তার নির্বাচনী এলাকার কয়েকশ মানুষ তার সঙ্গে ছিলেন।

চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ পান তারা। ফলে গত ৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। মামলার এজাহারে বাদী জানান, ফরিদপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী মোবাইল ফোনে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ফোন করে নির্বাচনে অধিক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই ফোনালাপে এমপি নিক্সন চৌধুরী তাকে অধিক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখান এবং অশোভন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া নিক্সন চৌধুরী ভোট গ্রহণের দিন চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোনে তাকেসহ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেন। মামলায় উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা-২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ বিধি অনুযায়ী নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মামলার এজাহারে অনুরোধ জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর