বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

একাত্তরের গণহত্যার কথা জাতিসংঘে তুলল ভারত

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যা হয়েছিল ভারত গতকাল জাতিসংঘে সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে। ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘ গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস পালন করে। এ উপলক্ষে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তির একটি টুইট বার্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করে। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আসুন আজ আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের ধর্মীয় সাগরেদ (রাজাকার)-দের হাতে নিহত ৩০ লাখ মানুষ ও ২ লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনা স্মরণ করি ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। মানব ইতিহাসে এটি সব থেকে জঘন্যতম ঘটনা। আর যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ তিনি জাতিসংঘের টুইটে নিজের টুইট জুড়ে দেন। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে প্রস্তাব গ্রহণ করে। সেটাই  ছিল জাতিসংঘে প্রথম মানবাধিকারসংক্রান্ত চুক্তি। একই সঙ্গে জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের গণহত্যা রোখার সনদ গ্রহণ করে। যদিও বাংলাদেশ অবশ্য ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবি তুলেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সংসদ এ মর্মে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘে সরকারিভাবে চিঠি লিখে দাবি জানায়। ভারত সরকারের সূত্র জানান, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে যদি পুনরায় এ দাবি উত্থাপন করা হয় তাহলে ভারত তাতে সমর্থন করবে। জাতিসংঘের সনদে বলা হয়েছিল, গণহত্যার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় এবং গণহত্যার আইনি পরিভাষা স্বীকার করা হয়েছিল। যেটা জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্র মেনে নিয়েছে। ২০০৫ সালের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, যদি কোনো রাষ্ট্র গণহত্যা রুখতে বা দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে অন্য সদস্য রাষ্ট্ররা সম্মিলিতভাবে সে লক্ষ্য পূরণে উদ্যোগী হতে পারে।

উল্লেখ্য, সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যার অপরাধীরা এখনো সবাই শাস্তি পায়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি পাকিস্তান হাইকমিশনারকে সাক্ষাৎকারের সময়ে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর