বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

জমে উঠছে চট্টগ্রাম সিটি ভোট

অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা থাকছেন আগের প্রার্থীরাই

সাইদুল ইসলাম ও মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

জমে উঠছে চট্টগ্রাম সিটি ভোট

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নির্বাচনী বিধি-নিষেধের কারণে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না করলেও মানবিকতার আড়ালে চলছে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভোট সেন্টারের দায়িত্ব পাওয়া নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্বাচনী কাজ শুরুরও নির্দেশনা দিচ্ছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে ফের নির্বাচনী আবহ শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ  ব্যক্ত করেন। এদিকে চসিক নির্বাচনে চার ওয়ার্ডে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে। চসিকের সাধারণ ওয়ার্ড ৩০, ৩৭, ৪০ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬-এর প্রার্থীর মৃত্যুতে পুনরায় তফসিলের পাশাপাশি যারা প্রার্থী আছেন তারা বহাল থাকবেন। তবে প্রার্থীরা নতুন করে মনোনয়ন জমা দিতে হবে না। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রচার প্রচারণার তারিখ ঘোষণা দিলে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করব। তবে করোনাকালের শুরু থেকে মানবিক যে কার্যক্রম শুরু করেছি তা অব্যাহত রেখেছি।’ চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন স্থগিত থাকলেও মাঠে সক্রিয় ছিলাম। ত্রাণ ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, টেলিমেডিসিনসহ নানাভাবে মানুষের পাশে আছি। প্রচার-প্রচারণা বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তাই আনুষ্ঠানিক প্রচারণার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ বাংলাদেশি ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম এ মতিন বলেন, আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলে ফের নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হব। জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত হলেও মাঠে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন মেয়র, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা। করোনা কালে সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ, টেলিমেডিসিনসহ নানাভাবে মাঠে ছিলেন তারা। ‘লকডাউন’ শিথিল হওয়ার পর পর উঠান বৈঠক, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে সক্রিয় ছিলেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি দলীয় নানান অনুষ্ঠানেও মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল।

দুই হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর নিজেদের অবস্থান থেকে সক্রিয় ছিলেন মাঠে। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে ফের নির্বাচনী আবহ শুরু হয় প্রার্থীদের মধ্যে।

নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চসিকের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর কারণে নতুন তফসিলের পাশাপাশি একই সময়ে ২৭ জানুয়ারি চসিকের নির্বাচন হবে।

সর্বশেষ খবর