নোয়াখালীর ভাসানচরে তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৪৬৭ রোহিঙ্গা এসে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭, মহিলা ৪০৫ জন এবং ৭১৫ শিশু রয়েছে।
গতকাল দুপুর ১ টার দিকে তারা ভাসানচর এসে পৌঁছায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে তাদের নিয়ে ৪টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়। শুক্রবার সড়ক পথে তারা চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িযোগে ওয়্যার হাউস-১ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়। পরে ভাসানচরের ২৪, ২৫ এবং ২৬ নং ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২ টায় তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছান ১৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ছিলেন পুরুষ ৪০৪ জন, মহিলা ৫১০ জন এবং ৮৬২ জন শিশু। চট্টগ্রাম বোটক্লাব থেকে ৫টি জাহাজে করে তাদের ভাসানচর আনা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৩৮টি বাসে করে তাদের চট্টগ্রাম আনা হয়। শুক্রবার সকাল ৯ টায় নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়া হন। উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। ১ সপ্তাহ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের রান্না করে খাওয়ানো হয়। প্রথম ধাপে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০, পুরুষ ৩৬৮, নারী ৪৬৪ জন।