রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, ‘আমার অনুমান হচ্ছে, গরম বাড়ছে, এখন ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশন না হলে টেকা মুশকিল। কিন্তু একটা বদ্ধ জায়গায় যদি মাস্ক ছাড়া অনেক মানুষ থাকে, তাহলে লক্ষণ-উপসর্গবিহীন একজন করোনা আক্রান্ত রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হবেন। একই
সঙ্গে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট (ধরন) পাওয়া গেছে। নতুন ধরন নিয়ে সতর্ক থাকুন।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জানুয়ারি মাসে সিলেটে সংক্রমিত কয়েকজনের মধ্যে একজনে এই ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ জন্য বিশ্লেষণ দরকার। সংক্রমণ বাড়ার হার পুরো বাংলাদেশেই, নাকি কোনো বিশেষ এলাকাতে- সেটি দেখতে হবে। যদি প্রবাসীদের মধ্যে সিলেট বা ঢাকা অঞ্চলে হয় তাহলে এটি বলা যেতে পারে।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন শনাক্ত বাড়ছে। আগের দিনের চেয়ে পরদিন আরও বেশি। এ লক্ষণ কিন্তু খারাপ হতে পারে। কাজেই এখনো যদি আমরা সতর্ক হই, যেভাবে শীতকালে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার পর সবাই সতর্ক ছিল, সেভাবেই কাজ হওয়ায় নভেম্বরে বাড়তে গিয়েও বাড়েনি, নেমে গেছে। সেভাবেই সতর্কতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে আমাদের বিপদ হতে পারে।’