হজ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় কমিটি গঠন এবং অনিয়ম করলে হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ নিবন্ধন বাতিলের বিধান রেখে সংসদে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১’ উত্থাপিত হয়েছে। কোনো হজ ও ওমরাহ এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলেও, বাংলাদেশে সেই অপরাধের বিচার করার বিধান এতে রাখা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিলটি উত্থাপন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। বিলটি ৪০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। নতুন আইনের বিলে বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার একটি জাতীয় কমিটি গঠন করবে। তারা হজ ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন পেতে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিলে আরও বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। ওমরাহ এজেন্সি অনিয়ম করলে নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়বে। এ ছাড়া জামানত বাজেয়াফত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের শাস্তিও রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, কোনো এজেন্সি পরপর দু’বার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হবে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে তার অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পুনরায় আর নিবন্ধন পাবেন না। অন্য কোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। এ ছাড়া বিলে হজ এজেন্সিগুলোর মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তন করতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, হজের চুক্তি দেশে হওয়ার পর কেউ সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারণা করলে, ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে গণ্য করে এই আইনে তার বিচার করা হবে।