শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
আরমানিটোলায় আগুন

স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী লাইফ সাপোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার আরমানিটোলা হাজী মুসা ম্যানশনে আগুনে দগ্ধ নবদম্পতির মধ্যে আশিকুজ্জামান খানের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬-এ দাঁড়াল। আশিকুজ্জামান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, আশিকুজ্জামানের বাহ্যিক দগ্ধ ছিল না। শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল। তার স্ত্রী ইশরাত জাহান মুনা (২৮) এখনো লাইফ সাপোর্টে। আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে দুজন মারা গেলেন। এর আগে রবিবার সকালে আইসিইউতে শাফায়াত হোসেন (৩৫) মারা যান। জানা গেছে, মাত্র এক মাস আগে আশিকুজ্জামান ও মুনা দম্পতির বিয়ে হয়। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আর আশিকুজ্জামান বুয়েটের ছাত্র। আশিকুজ্জামানের বাবা আবুল কাশেম খান জানান, খালার বাসায় থেকে লেখাপড়া করত আশিকুজ্জামান। ২২ এপ্রিল রাতে আরমানিটোলায় শ্বশুরের বাসায় এসেছিল। নিচে রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। এতে অন্যদের সঙ্গে আশিকুজ্জামান ও মুনা দম্পতি দগ্ধ হন। আগুনে আশিক-মুনা ছাড়াও মুনার বাবা ইব্রাহীম সরকার, মা সুফিয়া বেগম, ভাই জুনায়েদ সরকার দগ্ধ হন। ঘটনার রাতেই ফ্ল্যাট থেকে মুনার ছোট বোন ইডেন মহিলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের (২২) দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ২২ এপ্রিল রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনের নিচতলায় কেমিক্যালের গোডাউনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কেমিক্যাল গোডাউন থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুজন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২৩ জন। ছয় তলা ভবনটির নিচতলায় দোকান ও কেমিক্যালের গুদাম ছিল। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই কেমিক্যাল গুদামের মালিককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সর্বশেষ খবর