বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বরাদ্দ দিন জরুরি স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায়

ড. নাজনীন আহমেদ

বরাদ্দ দিন জরুরি স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায়

আগামী বাজেটে জরুরি স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দ চান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্বলতা দূর করতে হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারের যেসব প্রকল্প জরুরি নয় সেগুলো কমিয়ে আনতে হবে। কর আদায় কীভাবে হবে সেদিকে নজর দিতে হবে। করপোরেট কর কমাতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে রবিবার এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি আরও বলেন, আসছে বাজেট অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। বাস্তব অবস্থা হলো কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিল। আবার ই-কমার্সের প্রসার হয়েছে। তিনি বলেন, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ পাননি। যেটুকু পেয়েছেন মাঝারি ও বড় উদ্যোক্তারা। অনানুষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারাও ঋণ পাননি। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়েছে। ছাঁটাই হয়ছে লোকবল। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও জনবল কমিয়েছে। তাঁর মতে, যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের জন্য সাময়িকভাবে খন্ডকালীন কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। লকডাউনের কারণে যেসব দৈনিক আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়েছে তাদের বিকল্প খাদ্য সহায়তা দেওয়া জরুরি। বাড়াতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। করোনার মতো মহামারী বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারকে বিকল্প প্রস্তুতি রাখতে হবে। এই অর্থনীতিবিদের মতে, করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে হলে আগে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তারপর এর বিস্তার ঠেকাতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাজেট করতে হবে। এজন্য যেমন বাড়াতে হবে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ, তেমনই বরাদ্দ অর্থ খরচ করার সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। করোনা মহামারীর কারণে গত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলেও সেগুলো খরচ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে বরাদ্দ দিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা মহামারী মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে পারে। ড. নাজনীন আহমেদের মতে, প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর মধ্যে বড়দেরগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। ছোটদেরটা বাস্তবায়ন হয়নি। কেন হয়নি দেখা দরকার। ছোট উদ্যোক্তাদের হয়তো ঋণের চাহিদা নেই। নাকি তারা ঋণ নিতে ভয় পান। তাদের অনেকেই নিজের টাকায় ব্যবসা করেছেন। এখন হয়তো ঋণ নিতে চাচ্ছেন না। তবে তাদের যে কোনোভাবে সহযোগিতা করে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনলে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। তাদের ঋণের জোগান দিলে বিশেষ করে গ্রামে টাকার প্রবাহ যাবে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর