বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

আত্মহত্যার চেষ্টা ধর্ষণের শিকার সেই তরুণীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা পিটিআই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মামলার ধারা সংশোধন করেছে পুলিশ। গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০’র ৯ (১) ধারা সংযুক্ত করা হয়। এ ধারার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ওই ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’র ৯ (৫) ধারা দেওয়া হয়েছিল। আইনজীবীরা জানান, ৯ (৫) ধারার অপরাধ হচ্ছে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ধর্ষণ হলেও ধর্ষক ওই পুলিশ নয় অন্য কেউ, এখানে পুলিশের অপরাধ হচ্ছে দায়িত্বে অবহেলা। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদন্ড। ওই ধর্ষণ মামলার ধারা সংশোধন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। 

এদিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ওই তরুণী মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। এ সময় সেখানে থাকা অন্য নারী ও পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ওই তরুণী ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে খুলনায় আসেন। তারপর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে আটক করে পিটিআইতে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে রাজি হননি।

জানা যায়, ১৩ মে রাতে খুলনার পিটিআইতে ভারত ফেরত বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ওই তরুণীর কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন নিরাপত্তা ডিউটিতে থাকা এএসআই মোকলেছুর রহমান। ১৫ মে রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করতে গেলে ওই তরুণী চিৎকার দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাথমিক তদন্তে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় এএসআই মোকলেছুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। পরে ১৭ মে খুলনা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, মামলার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ডাক্তারি পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকালে ওই তরুণীকে আবারও পিটিআইতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে  নেওয়া হয়। ওই নারী সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় কেউ তাতে রাজি হননি। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনা টের পেয়ে ওই সেন্টারে থাকা অন্য নারী ও পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর জানান, ওই তরুণীর করোনা আছে কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর