চীনের মহাকাশযান তিয়ানওয়েন-১ থেকে মঙ্গলগ্রহে অবতরণের পর প্রথমবারের মতো ছবি পাঠিয়েছে চীনা রোভার জুরং। এতে মঙ্গলের অংশবিশেষ দেখা গেছে। গতকাল চীনা জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ) এসব ছবির কয়েকটি প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সামনের ক্যামেরায় তোলা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মঙ্গলপৃষ্ঠের দৃশ্য এবং পেছনের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে জুরংয়ের সোলার প্যানেলগুলো। সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
ছবিগুলো মঙ্গলের কক্ষপথের বেশ কিছুটা দূর থেকে নেওয়া। এতে গ্রহটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি এলাকার দৃশ্যও ধরা পড়েছে। সিএনএসএ আরও জানিয়েছে, তাদের পাঠানো মহাকাশযান ‘তিয়ানওয়েন-১’ লাল গ্রহের কক্ষপথের ২২ লাখ কিলোমিটার (বা ১৪ লাখ মাইল) দূরত্ব থেকে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের ‘স্কিয়াপ্যারেল্টি ক্রেটার’ (সুবিশাল গর্ত) আর গিরিখাতে ভরা এলাকা ‘ভ্যালেস মারিনেরিস’-এর বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া তিয়ানওয়েন-১ অরবিটার থেকে রোভারের অ্যারোশেলের বেরিয়ে আসার মুহুর্ত ধারণ করে রাখা কয়েকটি ছোট ছোট ভিডিও-ও তারা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা করে চীনা যান তিয়ানওয়েন-১। একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার নিয়ে ৫ টন ওজনের এ মহাকাশযান গত ১০ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে। চলতি মাসে এটি পৌঁছে যায় গ্রহের ‘ইউটোপিয়া’ এলাকায়। জুরং রোভারটি ১৫ মে মঙ্গলপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করে। খবরে বলা হয়, লাল গ্রহটির উত্তর গোলার্ধের যে বিস্তৃত ভূখন্ডকে ইউটোপিয়া প্লানিশা নাম দেওয়া হয়েছে, ছয় চাকার সৌরবিদ্যুৎ-চালিত জুরং ওই এলাকায় অবতরণ করে। এর মধ্য দিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মঙ্গলে সফলভাবে অনুসন্ধানকারী যান নামানোর কৃতিত্ব অর্জন করেছে। মঙ্গলের হিসাবে অন্তত ৯০ দিন জুরং ইউটোপিয়া প্লানিশায় তার অভিযান চালাতে পারবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের। মঙ্গলে পাঠানো চীনের এ রোভার লাল গ্রহটির মাটি, বায়ুমন্ডল ও আবহাওয়া খতিয়ে দেখবে। উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রোভার পারসিভের্যান্স সফলভাবে মঙ্গলের জেজেরো খাদে অবতরণ করে। এ জায়গাটি ইউটোপিয়া প্লানিশা থেকে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে।