শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

লরিতে তেলের বদলে গাঁজা, গ্যাসের বদলে ইয়াবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক চোরাচালানে প্রতিনিয়তই কৌশল পাল্টাচ্ছে কারবারিরা। এবার ট্যাংক লরিতে তেলের বদলে মিলেছে গাঁজার বস্তা। আর প্রাইভেট কারের সিলিন্ডারে নেই গ্যাসের ছিটেফোঁটা, মিলেছে হাজার হাজার ইয়াবার পিস। গাঁজা-ইয়াবা চক্রের পাঁচজনকে বুধবার গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকজন বড় মাদক ব্যবসায়ীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে ট্যাংক লরিতে গাঁজা আর গ্যাস সিলিন্ডারে ইয়াবা জব্দের বিষয়ে ডিবি সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মাদকের চালান আসছে- এমন গোপন তথ্যে ঢাকার প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থান নেন গোয়েন্দারা। এরপর তারা একের পর এক সন্দেহভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে ঘোড়াশাল হয়ে ঢাকায় ঢোকার পর বুধবার রাজধানীর শেওড়া এলাকায় তেল বহনের একটি ট্যাংক লরিতে তল্লাশি চালানো হয়। লরির বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিতেও মেলে না কিছুই। এক পর্যায়ে ট্যাংকিতে আঘাত করলে ফাঁপা আওয়াজ ভেসে এলে সন্দেহ হয় ডিবি পুলিশের সদস্যদের। এরপর তারা ট্যাংকির ঢাকনা খোলেন। ভিতরে দেখা যায় বস্তা। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ৫০ কেজি গাঁজা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রিগ্যান খান, জাকির হোসেন ও খোকন মৃধা নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান গতকাল জানান, বেশি টাকার লোভে চালক, গাড়ির মালিক এবং মাদক ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই মাদক নিয়ে যেত। এর আগে তারা শত শত কেজি গাঁজা পাচার করেছে। ডিবি সূত্র জানায়, পৃথক আরেকটি অভিযান চলে যাত্রাবাড়ী এলাকায়। বুধবার ওই এলাকা দিয়ে একটি সাদা রঙের রিকন্ডিশন্ড প্রাইভেট কার ঢাকায় ঢুকছিল। গাড়ির গায়ে মার্কারের কালিতে লেখা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রিলিজের নম্বর। রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে শোরুমের নম্বর ঝুলিয়ে গাড়িটি চলছিল। গোপন সূত্রের খবরের সঙ্গে মিল পেয়ে ডিবির দল গাড়িটি থামায়। তল্লাশির সময় চালক দাবি করেন, গাড়িটি বন্দর থেকে রিলিজ করে গাজীপুরের শোরুমে নেওয়া হচ্ছে। তল্লাশিকালে গাড়ির পেছনে গ্যাসের সিলিন্ডার দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। কারণ আমদানি করা রিকন্ডিশন্ড গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকে না। ভিন্ন আদলের এই সিলিন্ডারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখেই জানা যায় মাদক চোরাচালানের তথ্য। পরে সিলিন্ডার খুলে জব্দ করা হয় ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। সেখানে আটক করা হয় জনি খান ও হৃদয় শিকদার নামে দুজন ইয়াবা কারবারিকে। টেকনাফের উখিয়া থেকে ৮ লাখ টাকায় ইয়াবার চালান কিনে তারা গাজীপুর যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে ডিসি মশিউর রহমান বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারে ইয়াবাগুলো বিশেষ কায়দায় ঢুকিয়ে টেকনাফের উখিয়া থেকে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কার কাছ থেকে নিয়ে এসেছিল, কাদের কাছে বিক্রি করত গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে সেসব তথ্য তারা পেয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর