শিরোনাম
সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
খুলনায় মন্দির বসতবাড়ি ভাঙচুর

মসজিদের ইমামসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার রূপসা শিয়ালী এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বসতবাড়ি ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গতকাল রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরদার মোশাররফ হোসেন মামলার তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে রূপসার শিয়ালী এলাকায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মন্দির, বসতবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায়

ওই রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্থানীয় মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলার বাদী ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, রূপসা উপজেলা সভাপতি শক্তিপদ বসু জানান, উসকানিমূলক বক্তব্য ও ষড়যন্ত্রের কারণে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মসজিদ কমিটির লোকজন উসকানি দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, শিয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন স্বপ্নে দেখেন স্থানীয় শ্মশানে পরপর কয়েকদিন নামকীর্তন করলে করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এরপর থেকে গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন শিয়ালী শ্মশানঘাটে নামকীর্তন শুরু করেন।

এদিকে ওই নামকীর্তনে নামাজের ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে শ্মশানঘাটের পাশে শিয়ালী বাজার মসজিদের মুসল্লিরা তা বন্ধ করতে বললে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিয়ালী বাজার মসজিদের ইমাম মো. নাজিম সমাদ্দারের একটি বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ে। আলোচিত মসজিদের ইমাম হাফেজ নাজিম উদ্দিন সমাদ্দার গতকাল বিকালে  মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোনো ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শনিবার গ্রামে ভাঙচুর বা হামলার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর