বিয়ে ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হাতে চাচা হাতিম আলী (৫৫) খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও সোমবার দুপুরে হাতিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বেড়া পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামাণিকের ছেলে সজিবের বিয়ে ঠিক হওয়ার পর হঠাৎ কনেপক্ষ হতে বিয়ে দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এতে তার আপন চাচা হাতিম আলীর হাত আছে বলে তার ভাতিজা সন্দেহ করে। এ নিয়ে রবিবার রাতে তারা পারিবারিকভাবে বাড়িতেই একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। এ সময় সজিব উপস্থিত ছিল না কিন্তু তার দুই ভাই সুরুজ আলী (৩৪) সাকিলসহ (৩২) পরিরবারের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে সজিবের চাচাকে এ বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য দোষারোপ করা হয়। অভিযোগ হাতিম আলী অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাকিল এবং সুরুজ দুই ভাই ক্ষীপ্ত হয়ে চাচার ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। একই রাতে পাবনা থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সুরুজ এবং সাকিলকে আটক করেছেন বলে জানা গেছে।