জাপান থেকে আসা সেই দুই শিশুর জাপানি মা নাকানো এরিকো এবং বাবা বাংলাদেশি ইমরান শরীফের মধ্যে সমঝোতার জন্য আজ আবারও বৈঠকে বসতে বলেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ দুই পক্ষের আইনজীবীকে এমন সিদ্ধান্ত দিয়ে শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করে। আদালতে নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর এক শুনানিতে উভয় পক্ষ সমঝোতায় আসবে বলে আশা করেছিল আদালত। গতকাল সকালে এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ইমরান শরীফের আইনজীবীদের সঙ্গে দুবার বসেছিলাম। আমাদের প্রস্তাব জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওনাদের পক্ষ থেকে আর কিছু জানানো হয়নি। এরিকো চান সবকিছু ভুলে স্বামী-সন্তান নিয়ে জাপানে নতুন জীবন শুরু করতে।’ পরে শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, সমঝোতার জন্য আলোচনা হয়েছে। আরও আলোচনা দরকার। পরে আজ সমঝোতার জন্য আবার বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ৩১ আগস্ট জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার সঙ্গে গুলশানের চার কক্ষবিশিষ্ট একটি বাসায় থাকতে জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবাকে আদেশ দেয় হাই কোর্ট। তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সমাজসেবা অধিদফতরের ঢাকার উপপরিচালককে। এ ছাড়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে আদেশ দেয় হাই কোর্ট। এর আগে দুই মেয়ে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে ১৯ আগস্ট হাই কোর্টে হ্যাবিয়াস কর্পাস রিট করেন জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো (৪৬)। রিটে মেয়েদের নিজের জিম্মায় নেওয়ার নির্দেশনা চান ওই নারী। ওই দিন জাপানি দুই শিশু ও তাদের বাবা ইমরান শরীফকে এক মাসের জন্য দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। একই সঙ্গে দুই শিশুকে ৩১ আগস্ট আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সঙ্গে তাদের বাবা ও ফুফুকে নিয়ে আসতে বলা হয়।