চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো নিয়ে সেবা সংস্থাগুলো একে অপরের দিকে আঙুল তুললেও নগরবাসীর উপকার হয় এমন কাজ কোনো সংস্থাই করছে না। সংস্থাগুলো কাজ করার চেয়ে অন্যের দোষ খুঁজতেই বেশি ব্যস্ত। অথচ গত কয়েক মাসে ড্রেনে পড়ে প্রতিটি মৃত্যুর জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ সব সংস্থাই সমানভাবে দায়ী। নালায় পড়ে মৃত্যুর একটি ঘটনা হলে দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু একই ঘটনা যখন বার বার ঘটে তখন তা দুর্ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তা গণহত্যায় পরিণত হয়। এ গণহত্যার দায় সব সংস্থাকেই নিতে হবে- এমন দাবি করেছেন সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এ সমাজবিজ্ঞানীর মতে, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য সরকার গত কয়েক বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু কোনো উন্নয়ন কাজেরই সমন্বয় নেই। সব উন্নয়ন প্রকল্প চলছে সমন্বয়হীনভাবে। অথচ সমন্বয় করে যদি উন্নয়ন প্রকল্প করা যেত তাহলে চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা যেত। এড়ানো যেত দুর্ঘটনা। বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়হীনতা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোনো একটি ঘটনার পর সব সংস্থা সমন্বয়ের কথা বলে। মিটিং করে। কিন্তু চা-নাস্তা এবং আড্ডা দেওয়ার মধ্যেই থাকে সমন্বয় সভা। সমন্বয় সভাগুলোতে হয় না কর্মপরিকল্পনা কিংবা কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা। তারা আড্ডা ও কুশল বিনিময় করে শেষ করেন সমন্বয় সভার নামে দায়িত্বহীন কর্মকান্ড।