গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দাম্পত্য কলহের জেরে এক কিশোরী বধূকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্বামীর পরিবারের দাবি, ওই কিশোরী বধূ রাগ করে স্বামীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কাপাসিয়া সদরের মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতের নাম-সুমাইয়া (১৮)। তিনি কাপাসিয়া থানাধীন কাপাসিয়া মধ্যপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে এবং একই এলাকার মহিমুদুল হাসান মুরাদের (২০) স্ত্রী। কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাসিম স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, প্রায় ৬/৭ মাস আগে কাপাসিয়া সদরের মধ্যপাড়া এলাকার মহিমুদুল হাসান মুরাদ ভালোবেসে একই এলাকার সুমাইয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর হতে তাদের মাঝে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর জেরে মাসখানেক আগে সুমাইয়া রাগ করে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২ নভেম্বর সুমাইয়া পুনরায় স্বামীর বাড়িতে আসেন। রাত ৯টার দিকে সুমাইয়া স্বামীর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান সুমাইয়া। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। ওসি আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দাখিল করেননি কেউ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।