মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঢাকায় মৈত্রী দিবস উদযাপন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে  ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস’ পালিত হয়েছে। ৫০ বছর আগে এই দিনে ভারত ও ভুটান স্বাধীন এবং সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ঢাকা ও দিল্লি ছাড়াও      বিশ্বের ১৮টি দেশে যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করেছে দুই দেশ। মৈত্রী দিবস উপলক্ষে         গতকাল ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশন একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা। ২০২০ এবং ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সংবর্ধিত করা হয়। পরে জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও ঢাকায় এবং বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ কর্তৃক যৌথভাবে নির্বাচিত লোগো এবং ব্যাকড্রপ ঢাকায় এবং সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, এত বড় আকারে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই ধরনের মাইলফলক উদযাপনের চেষ্টা আগে কোনো দেশ করেনি। কভিড মহামারীর অব্যাহত চ্যালেঞ্জ এবং জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামও বর্বরতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের অনিবার্যতা প্রমাণ করেছিল। হাইকমিশনার বলেন, আগামী ৫০ বছরে, আমাদের বন্ধুত্বের ভিত্তি এবং আমাদের ইতিহাসকে একসঙ্গে গড়ে তোলার জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষ করে গত এক দশকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর