মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

পাহাড়ে মসলা চাষে সম্ভাবনা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে মসলা চাষে সম্ভাবনা

পার্বত্যাঞ্চলে মিশ্র মসলা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলনও হচ্ছে বাম্পার। তাই মসলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদেরও। অর্থনৈতিক দ্বারোন্মোচন হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষাণ-কৃষাণিদের ঘরে। জুম পাহাড়ে চাষ করা হচ্ছে মরিচ, হলুদ, আদা ও তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, আলুবোখারা ও গোল মরিচ। আর পাহাড়ের এসব উৎপাদিত মসলা রপ্তানি করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। এরই মধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের হাট-বাজারে সয়লাব হয়েছে এসব মসলা। তাই সরকারের সহায়তায় মসলা চাষিদের তরান্বিত করতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চল অর্থাৎ তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে অর্থনৈতিক দ্বারোন্মোচন করেছে মিশ্র মসলা চাষ। জুম পাহাড়ে চাষাবাদ হচ্ছে আদা, রসুন, পিঁয়াজ, মরিচ, হলুদ, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, আলুবোখারা ও গোল মরিচ। এসব মসলার চাহিদা বেশি। তাই লাভও বেশি। এসব মসলা মন জয় করেছে স্থানীয়দের। তাই পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়।

রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের বরাদম এলাকার মসলা চাষি যুদ্ধমণি চাকমা বলেন, একটা সময় পাহাড়ি হলুদ দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। এখন হলুদের পাশাপাশি মসলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। কিন্তু সরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাবে মূল্যবান মসলা চাষে হিমশিম খাচ্ছে দরিদ্র চাষিরা। তাই কৃষকদের সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। গ্রহণ করেছে পাইলট প্রকল্প।

পার্বত্য চট্টগ্রাম মসলা চাষ প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে  পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মসলা চাষ প্রকল্প নামে একটি পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করে। যার শেষ হওয়ার মেয়াদ ২০২২ সালে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ হাজার ৬০০ কৃষাণ-কৃষাণির। এ উচ্চমূল্যের মসলা চাষের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পাহাড়ে কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা করছে পাহাড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এ মিশ্র মসলা চাষের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব মিশ্র মসলা চাষে সফলতা এলে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর