নড়াইল শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়া ওঠা অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব এখন অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। রিসোর্টের সবুজ গাছ-গাছালিতে সারা বছরই বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি বসতে দেখা যায়। শীতকালে বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির অগণিত পাখির আগমন ঘটে এখানে। শীত মৌসুমের বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ রিসোর্টের গাছে পাখি পড়ার দৃশ্য ও পাখির কিচিরমিচির শব্দ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শকদের মোহিত করে। রিসোর্টের বিশাল পুকুরের মাঝখানে নির্মিত বোট আইল্যান্ডের ওপর দাঁড়িয়ে পাখিপ্রেমীরা বিভিন্ন দিক থেকে উড়ে আসা অতিথি পাখি পড়ার দৃশ্য উপভোগ করে থাকেন। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অতিথি পাখির কোলাহল থাকে এখানে। প্রায় প্রতিদিন ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। মাঝেমধ্যে বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসেন বলে জানালেন অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরদারির কারণে পাখি শিকার বা পাখিদের প্রতি বিরূপ আচরণ বন্ধে এ রিসোর্টের গাছপালা এখন পাখিদের দখলে। খাবারের সন্ধানে সকালে বেরিয়ে পড়া পাখিগুলো বিকাল ৫টা থেকে ডানা মেলে এখানে আসতে থাকে। আকাশে ডানা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ছুটে এসে রিসোর্টের ভিতরকার গাছপালার ডালে বসা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
পাখি ও প্রকৃতি প্রেমিক অরুনিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য খবির উদ্দিন আহমেদ জানান, পর্যটকদের মনের খোরাক মেটাতে ও নির্মল আনন্দদানে প্রায় ৫০ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এ রিসোর্ট ও গলফ ক্লাবটি।
শহরের কর্মব্যস্ত মানুষ বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা এখানে ঘুরতে এসে আনন্দ পেয়ে থাকেন। এ রিসোর্টে রয়েছে বড় বড় কয়েকটি পুকুর। পুকুর ভরা রয়েছে দেশি প্রজাতির মাছ। পুকুর বা জলাশয়ে ভেসে থাকা বিশাল আকৃতির মাছগুলোও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।