খুলনা বিএনপির শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে তিন থানা কমিটির ৫৬১ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। এর আগে নগরের পাঁচটি থানা কমিটি ভেঙে দেয় ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি। ফলে খুলনায় বিএনপি রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর নগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ শীর্ষ সব নেতাকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র থেকে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে খুলনায় নগর বিএনপিতে বিভক্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক পদ থেকেও নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতিপত্র পাওয়ার পর মঞ্জু বলেন, আমি কিছুদিন আগে খুলনায় বিএনপির রাজনীতি কীভাবে দুর্বৃত্তায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে কেন্দ্রে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু ওই চিঠির কোনো তদন্ত না করে নগর কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হলো। যাদের ওপর আস্থা-বিশ্বাস নেই বিএনপি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। এদিকে মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা সদর থানার সভাপতি আবদুল জলিল খান কালাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সোনাডাঙ্গা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদ, খালিশপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুসহ ৫৬১ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন।সোনাডাঙ্গা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দলের মূল ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নগরে বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বিদায়ী নগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ফলে তৃণমূলে দলের শৃঙ্খলা ও ঐক্য ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ হবে।