মঞ্চ থেকে ভেসে আসছে নৃত্যের ছন্দ ও সুরের মূর্ছনা আর শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। বাহারি রঙের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠেছে কনকনে হিমেল শীতের পৌষের সন্ধ্যা। দোকানে বানাচ্ছে বিক্রেতা আর কিনছে ক্রেতা। আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা কেনা ও খাওয়ার দৃশ্য স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও লক্ষণীয় ছিল শিল্পকলা একাডেমিতে আগত পিঠাপ্রেমীদের মধ্যে। নৃত্যের তালে আর গানের সুরে পিঠা কেনা ও খাওয়ায় শিল্পকলা একাডেমিজুড়ে ফুটে ওঠে চিরচেনা বাঙালি সংস্কৃতির শাশ্বত রূপ। একাডেমির কফি হাউসের মুক্তমঞ্চ থেকে নানা রঙের বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ১০ দিনের এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় বেলুন ওড়ান অনুষ্ঠানে আগতরা।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে এটি উৎসবের পঞ্চদশ আসর। উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন আতাউর রহমান, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি কামাল বায়েজীদ, উৎসবের পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জাফর সিদ্দিকী, নৃত্যশিক্ষক আমানুল হক। স্বাগত বক্তৃতা করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম ও শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির সচিব আসাদুজ্জামান।