রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পাহাড়ে অতিথি পাখির ঝাঁক

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে অতিথি পাখির ঝাঁক

পাহাড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি। শীতের প্রকোপ যত বাড়ছে, অতিথি পাখির আগমনও তত বাড়ছে। এ অবস্থায় এখন রাঙামাটির হ্রদ-পাহাড় অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতপ্রধান দেশ থেকে প্রতিদিনই আসছে বাহারি রঙের নানা প্রজাতির পাখি। এসব পাখির ভিড় জমছে সবুজ পাহাড়ের বন-জঙ্গলে। ফলে ভোর হলেই দেখা যাচ্ছে কুয়াশার বুক চিরে ডুবোচরে বসেছে দেশি-বিদেশি পাখির হাট। স্থানীয়রা জানান, সারা দিনই চলে কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ পানিতে পাখিদের খুনসুটি। কখনো দেখা যায়, হ্রদের বুকে ডুবসাঁতার দিচ্ছে বা কখনো ঝাঁক বেঁধে নীল আকাশে ওড়াওড়ি করছে পাখির ঝাঁক। বিকালে যখন রক্তিম সূর্যের আকাশে গোধূলির সোনালি রং ছড়ায়, তখন শুরু হয় পাখিদের মিছিল। কিচিরমিচির ছন্দে সারি বেঁধে ফিরে যায় এরা পাহাড়, বন ও বাঁশঝাড়ের অস্থায়ী নিড়ে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব পাখির অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ ঘেঁষে বেড়ে ওঠা  বৃক্ষগুলো। শীতের মৌসুমি পাখি আর দেশীয় শালিক-টিয়া ও বাদুড়ের জন্য শহরের ডিসি বাংলোর শত বছরের পুরনো বৃক্ষগুলোও হয়েছে এদের বিচরণক্ষেত্র। সব মিলিয়ে বাংলোর পেছনে, হ্রদের ওপর থাকা গাছগুলোয় শত শত অতিথি পাখির কলতানে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করেছে। প্রায় প্রতিদিনই সুদূর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে পাহাড়ে আসছে ফ্লাইফেচার, জলকুট, পর্চাড, জলপিপি, পাতারি, গার্নিগি, পাস্তামুখী, নর্দান পিন্টেলসহ নানা প্রজাতির পাখি। অতিথি পাখির সঙ্গে যোগ হচ্ছে দেশীয় সরালি, ডাহুক, পানকৌড়ি, বক, বালিহাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখি। অতিথি পাখির দেখা মিলছে রাঙামাটি জেলার সুবলং, লংগদু, কাট্টলী, মাইনিমুখ, সাজেক, বাঘাইছড়ি, হরিণা, বিলাইছড়ি ও বরকলে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর