সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মধুমাসের আগমনী বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মধুমাসের আগমনী বার্তা

‘শান্তি নিকেতনের গাছে গাছে এসেছিল আমের মুকুল। মুগ্ধ কবিগুরু করেছিলেন তার বন্দনা। গাছে গাছে আমের মঞ্জরিকে বিশ্বকবি তুলনা করেছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের সঙ্গে।’ ঠিক তাই। রাজশাহীর চারদিকে আলো করে ফুটেছে তারা। বাতাস গন্ধে পাগল।

তার সুবাস স্বপ্ন আঁকছে বাগানিদের চোখে। রাজশাহীর বাতাসে এখন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আম্র মঞ্জরি। যার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত চাষিরা। তাদের চোখে বাম্পার উৎপাদনের স্বপ্ন। ভায়ালক্ষ্মীপুরের আমচাষি শওকত আলী জানান, অর্ধেকের বেশি গাছে এখনই মুকুল এসেছে। মুকুলের এভাবে আসা ও বৃষ্টির কারণে এবার ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। কাশিয়াডাঙ্গার আমচাষি আবদুল কারিম জানান, মুকুলের পরিচর্যা এখন থেকেই শুরু করেছেন। যাতে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবার ছাড়িয়ে যাবে আগের বছরকে। গাছের মুকুল আভাস দিচ্ছে বাম্পার ফলনের। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল আলীম জানান, যেভাবে মুকুল এসেছে, তাতে এবার বাম্পার ফলন হবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, এবার রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। ভালো ফলনের জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা আছে ফল গবেষণা কেন্দ্রের। ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন, এখন থেকে চাষিদের দুইবার কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। যাতে ছত্রাক বকা পোকা আমের গুটি নষ্ট করতে না পারে। এ জন্য চাষিরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

 ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর