সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

এক দিনে শনাক্ত ৮৩৪৫, মৃত্যু ২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক দিনে শনাক্ত ৮৩৪৫, মৃত্যু ২৯

দেশে করোনাভাইরাস ওমিক্রন ধরনের বিস্তারের মধ্যে এক দিনে আরও ৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে কভিড শনাক্ত হয়েছে। এক দিনে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল সাড়ে ৩৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৩৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে এ নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজারের নিচেই থাকল। গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছিল, একপর্যায়ে ২৬ জানুয়ারি তা ১৬ হাজার ৩৩ জনে পৌঁছয়। গত শুক্রবার শনাক্ত রোগী ১০ হাজারের নিচে নামে, সেদিন ৯ হাজার ৫২ জন শনাক্ত হয়। শনিবার শনাক্ত হয় আরও ৮ হাজার ৩৫৯ জন নতুন রোগী।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬১ হাজার ৫৩২ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ৮ হাজার ১৫৯ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ২ হাজার ৫৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় কভিড রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৩ জন। অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। তবে উপসর্গবিহীন আক্রান্তরা এই হিসাবেই আসেনি।

গত বছর আগস্টের পর গতকাল প্রথমবারের মতো দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়ায়। ১৫ জানুয়ারি এই সংখ্যা ছিল ৩১ হাজারের ঘরে। ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। তার আগের মাস ডিসেম্বরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৫৫ জন, আর সারা মাসে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

মহামারীর পুরো সময়ে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছর জুলাই মাসে, তখন ডেল্টার দাপট চলছে। ওই মাসে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬ হাজার ১৮২ জনের, যা এক মাসের সর্বোচ্চ।

ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে এবার মৃত্যুর সংখ্যা ওই সময়ের তুলনায় কম হলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের নতুন রেকর্ডে পৌঁছায় গত ২৮ জানুয়ারি। গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার নেমে এসেছে ২১ দশমিক ৫০ শতাংশে। মহামারীর মধ্যে সার্বিক শ?নাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ৫ হাজার ৪৬৬ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৫ শতাংশের বেশি। যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের তিনজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন দুজন। তাদের ২১ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

সর্বশেষ খবর