সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ এখন নিম্নমুখী শনাক্ত ৪৮৩৮ মৃত্যু ২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণ এখন নিম্নমুখী  শনাক্ত ৪৮৩৮ মৃত্যু ২৮

এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নমুখী রয়েছে। আগামীকাল শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারীদের টিকা নিতে হবে। যারা টিকা দিয়েছেন তাদের সনদটি সঙ্গে রাখতে হবে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহের শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি এ হার এসে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্তের হার যেখানে ৮ হাজার ৩৪৫ জন ছিল, সেটি ১২ ফেব্রুয়ারি কমে ৫ হাজার ২৩ জন হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও চলতি মাসের শেষের দিকে খুলে যাবে মন্তব্য করে নাজমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন। রাজধানীতে কভিড ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা অনেক খালি। তবে এসবের পরও আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে কভিড ডেডিকেটেড শয্যা আছে ৫ হাজার ২৩৫টি। এর মধ্যে ফাঁকা ৪ হাজার ২০৪টি। আবার আইসিইউ শয্যা আছে ৭৭০টি। এর মধ্যে ফাঁকা ৬০৫টি। টিকা গ্রহণ বিষয়ে সচেতন করে তিনি বলেন, শনিবার দেশে বিভিন্ন ধরনের টিকার প্রথম ডোজ ১০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়েছে।

দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬ কোটি ৮১ লাখ মানুষ। কমেছে সংক্রমণ : এক দিনের ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে বেড়েছে মৃত্যু। তবে কমেছে শনাক্তের হার ও সংখ্যা। শনাক্তের চেয়ে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় তিন গুণ মানুষ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, করোনা সংক্রমণে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৫৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮৩৮ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪.৮৫ শতাংশ। এই সময়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৮৫৩ জন। আগের দিন শনাক্ত হয় ৫ হাজার ২৩ জন। শনাক্তের হার ছিল ১৬.৫০ শতাংশ। মারা গিয়েছিলেন ২০ জন। গত এক দিনে মৃতদের মধ্যে ২০ জন ছিলেন পুরুষ ও আটজন নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সসীমায়। এ ছাড়া মৃতদের মধ্যে শতবর্ষী বৃদ্ধ থেকে ২০ বছরের কম বয়সী কিশোরও ছিল। ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ১২ জন। এ ছাড়া খুলনায় ছয়জন, রাজশাহীতে চারজন, চট্টগ্রামে দুজন, রংপুরে দুজন এবং বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ (২৪.৯০ শতাংশ) শনাক্তের হার ছিল বরিশাল বিভাগে। সর্বনিম্ন (৯.৭৮ শতাংশ) হার ছিল সিলেট বিভাগে। এ ছাড়া ঢাকায় ১৪.৭০, ময়মনসিংহে ২১.৮৫, চট্টগ্রামে ১৩.৩৩, রাজশাহীতে ১৭.৪৬, রংপুরে ২১.৫৭ ও খুলনা বিভাগে ১৪.৬৫ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার।

সর্বশেষ খবর