থোকায় থোকায় ঝুলছে ইতালির সবজি চেরি টমেটো। নওগাঁর রানীনগরের গোনা ইউনিয়নের বেতগাড়ী গ্রামের চাষি মাসুদ রানা খন্দকার ৫ শতক জমিতে চেরি টমেটোর খামারটি গড়ে তুলেছেন। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলে আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে একটি বীজ কোম্পানি থেকে ইতালির উন্নত জাতের চেরি টমেটোর ‘ম্যাগলিয়া রোসা’ জাতের বীজ সংগ্রহ করে জেলায় প্রথম বাবের মতো চেরি টমেটোর চাষ শুরু করেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টমেটোর ফলনও হয়েছে ভালো। চেরি টমেটো আকারে আঙুরের চেয়ে কিছুটা বড়। এই টমেটো কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকলেও পাকলে তা গাঢ় লাল ও কমলা রং ধারণ করে। সাধারণত চার মাস পরপর ফলন পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ থেকে ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত চেরি টমেটো সংগ্রহ করা যায়।

রোগ বালাইও না কি হয়নি। খেয়েও দেখলাম অনেক সুস্বাদু। আমি এই সবজি চাষ করব ভাবছি। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শ চাই। চাষি মাসুদ রানা খন্দকার বলেন, আমি ৪ গ্রামের মতো বীজ সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করেছিলাম। বর্তমানে আমার ৫ শতক জমিতে প্রায় ৪০০টির মতো চেরি টমেটোর গাছ আছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদার কারণে চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। আমি এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছি। আমার ৫ শতক জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আশা করছি ৫০-৬০ হাজার টাকার মতো লাভ হবে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, বেলে মাটিতে শীতকালে চেরি টমেটোর চাষ করা হলে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন। পরীক্ষামূলক চেরি টমেটোর চাষ করে মাসুদ রানা সফল হয়েছেন। ১৫-২০ দিনের মধ্যে বিক্রির জন্য চেরি টমেটো উঠানো যাবে। চেরি টমেটো চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বাজার সৃষ্টি করতে কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। যেসব চাষিরা চেরি টমেটো চাষ করতে আগ্রহী আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিব। ইতোমধ্যে আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এই সবজি চাষের জন্য চাষি ভাইদের উদ্বুদ্ধ করতে ওঠান বৈঠক শুরু করে দিয়েছি। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই টমেটোর চাষে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হবেন।