জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেছেন, ‘করোনা এখনো নির্মূল হয়নি, নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মহামারি প্রতিরোধে কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হয়। এর প্রথম ধাপ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। দেশে করোনা সংক্রমণের দুই বছরেও আমরা সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুশীলন করতে পারিনি। করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।’
গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, ‘মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন শেখাতে সহজভাবে তথ্য দিতে হবে। বিজ্ঞাপন যেভাবে দেয়, সে রকম নিয়মিত সুসংগঠিতভাবে তথ্য দিতে হবে। মানুষ যেন বুঝতে পারে এবং অভ্যাসে পরিণত করে এ জন্য বারবার এসব তথ্য দিতে হবে। করোনা মোকাবিলার দুই বছর পার হলেও আমরা মাস্ক পরা শিখতে পারিনি। এখন যেহেতু করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হবে। পরবর্তী ঝুঁকি ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর দিতে হবে। কারণ করোনা কিন্তু নির্মূল হয়নি, নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচে’ সব স্টেক হোল্ডারকে করোনা প্রতিরোধমূলক তথ্য দিতে হবে।’ ডা. চিন্ময় কান্তি দাস আরও বলেন, ‘দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা শুরু হয় বাড়ি থেকে। প্রতি মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা বাড়ি পরিদর্শনে যান। সেখানে অন্যান্য সেবার সঙ্গে তারা মাস্ক পরা এবং করোনা মোকাবিলায় টিকাসহ অন্যান্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি রাখতে হবে। আরও নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসবে কি না সেটা আমাদের জানা নেই। তাই করোনা ঝুঁকি ঠেকাতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’