সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই নারী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সুমী, বর্ষা, নেজারুল, আনজু, অনিক, রাসেল, রুনা, অংকন প্রমুখ। আটকরা হলেন কামরুল, বদরুজ্জামান, আসাদ ও গোলাম হোসেন। তারা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ তরফদার জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ সাত রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধরা পুলিশের নাকি প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

সূত্র আরও জানায়, যুবলীগ নেতা কর্তৃক সাংবাদিক পিতা-পুত্রকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে উপজেলা সদরে মানববন্ধন করে উপজেলা প্রেস ক্লাবের একাংশ ও স্থানীয় নাগরিক ঐক্য পরিষদ। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানসেন তালুকদার তুষার। সূত্র জানায়, সন্ধ্যার আগে তানসেন উপজেলা সদরের পুকুরপাড় দিয়ে যাওয়ার সময় হাফিজুরের ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশারের নেতৃত্বে তাকে ধরে মারপিট করে একদল যুবক। তুষার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের এই ঘটনা জানালে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে আসেন। এ সময় উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল দিয়ে পরস্পরের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। তাহিরপুর থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাত রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা সদরে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।