শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বিয়ের কাবিন চাওয়ায় হত্যা

কাঁথা মোড়ানো নারীর লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাঁথা মোড়ানো, হাত-পা বাঁধা, সড়কের পাশে পাওয়া নারীর লাশের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম আবদুল্লাহ শেখ। বুধবার রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি বলছে, বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি চাওয়ায় ওই নারীকে হত্যা করেন আবদুল্লাহ।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙামাটিতে সড়কের পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কাঁথা দিয়ে মোড়ানো অজ্ঞাত এক নারীর (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় ওই নারীর নাম আঁখি আক্তার নাজনীন। তার বাবা মৃত তোতা মিয়া। বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জামুরহাট গ্রামে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি জানান, আঁখি ও তার স্বামী আলমগীর হোসেন আশুলিয়ার শারমীন গ্রুপে সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তাদের ১০ বছরের সাংসারিক জীবনে ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। একই ফ্যাক্টরিতে একই পদে কাজ করতেন আবদুল্লাহ শেখ। একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে আঁখি ও আবদুল্লাহর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের আশ্বাসে প্রায় এক বছর ধরে আবদুল্লাহর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বসবাস করছিলেন আঁখি। আবদুল্লাহ শেখের পরামর্শে আঁখি আলমগীরকে প্রায় নয় মাস আগে তালাক দেন। এর পরই তারা

 গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। আঁখি তাদের বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি করার জন্য আবদুল্লাহকে বললে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করতে থাকেন। ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে আঁখি বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রির বিষয়ে বারবার তাগিদ দিলে আবদুল্লাহ শেখ (২৫) ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরে রেখে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত গভীর হলে সুযোগ বুঝে আরেক ব্যক্তির সহযোগিতায় মৃতদেহ শিমুলিয়ার রাঙামাটিতে সড়কের পাশে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান।

লাশ উদ্ধারের পর আঁখির দুলাভাই শফিকুল ইসলাম ২৭ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর