বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সাতক্ষীরায় দুম্বার খামার

মনিরুল ইসলাম মনি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় দুম্বার খামার

মরু অঞ্চলের দুম্বার খামার গড়ে আর্থিক সচ্ছলতা পেয়েছেন আবদুস সালাম খোকা। দুম্বা পালন করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের লস্করপাড়া গ্রামের মৃত কাজী আবদুল মোকিতের ছেলে মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। গৃহপালিত পশু গরু, ছাগল ও ভেড়ার মতোই দুম্বা লালন-পালন করা সম্ভব। জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার আগড়দাঁড়ি ইউনিয়নের চুপড়িয়া গ্রামে তিনি এই দুম্বার খামারটি গড়ে তুলেছেন। দুটি দুম্বা দিয়ে তার খামার শুরু। খামারে বর্তমানে ৫টি দুম্বা রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। মরু অঞ্চলের এই প্রাণী দুম্বা দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ তার খামারে ভিড় করছেন।

খামার মালিক আবদুস সালাম খোকা জানান, ২০১০ সালের দিকে তিনি চুপড়িয়া গ্রামে ৫০ বিঘা জমির ওপর মৎস্য চাষের পাশাপাশি গরুর খামার গড়ে তোলেন। ইউটিউবের কল্যাণে গরুর চেয়ে দুম্বা বেশি লাভবান হওয়ায় তিনি দুম্বার খামার করায় মনোযোগী হন। তার খামারে বর্তমানে দুম্বার সংখ্যা ৫টি। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এগুলো দেখতে আসেন।

 তার দেখাদেখি অনেকেই দুম্বা পালনে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। একটি  প্রাপ্তবয়স্ক মাদি দুম্বা ৮ মাস পর পর একটি কিংবা দুটি ছানা প্রসব করে। দুম্বাগুলোকে সপ্তাহে এক দিন গোসল করানো হয়। রোগবালাইয়ের তেমন কোনো বিড়ম্বনা নেই। প্রজননের জন্য একটি পুরুষ দুম্বা ২০টি মাদি দুম্বার সঙ্গী হতে পারে। দিনে দুবার খাবার দিতে হয়। ঘাস, ভুসি, কলার পাতা, আমের পাতা, ভাতের মাড়- এসব খায় দুম্বা। ৫-৬ মাস বয়সী একটি বাচ্চার মূল্য দেড় লাখ টাকা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আবদুর রউফ জানান, দুম্বা মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলের প্রাণী। সৌদি আরবে বেশি লালন-পালন হয়ে থাকে। বিশেষ করে কোরবানির সময় পশুটির চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশেও এটা সম্ভাবনাময় একটি প্রাণিসম্পদ। সাতক্ষীরার আবহাওয়া দুম্বা পালনের জন্য উপযোগী। পরিকল্পিতভাবে দুম্বার খামার করতে পারলে একদিকে যেমন আমিষের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন খামারিরা। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে মরু অঞ্চলের এই প্রাণীটি।

সর্বশেষ খবর