সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
স্কুলছাত্রকে ৯ টুকরা

চারজনের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন ২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেনের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে চারজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় মসজিদের ইমামের বেতন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে ইমনের বড় ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুরপ্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পর ইকবালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার। প্রায় দুই বছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আহম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি খেত থেকে টুকরা করা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে। এ বিষয়ে  নিহত নাহিদের বাবা কৃষক ইসমাইল হোসেন রমজান জানান, দন্ডিতরা যেন আইনের ফাঁক ব্যবহার করে ফাঁসির দন্ড থেকে বেঁচে  না যায়। আমার দাবি এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট।

সর্বশেষ খবর