বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, শুধু বায়ু ও শব্দদূষণের সঙ্গে যানজটের কারণেও বসবাস যোগ্যতা হারাচ্ছে ঢাকা। কারণ রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা বাড়ছে। প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানজট লেগেই থাকছে। এর অন্যতম কারণ সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। এ ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিক না হওয়া ও সড়কে অতিরিক্ত মোটরসাইকেল চলাচল এ জন্য দায়ী। আর এগুলোই শব্দ ও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আর কমিউটার রেল যোগাযোগ এবং খাল ও নদী সংস্কার করে দ্রুত নৌপথ চালু করতে হবে। ঢাকার চারটি করিডর রয়েছে। এই করিডরগুলোয় পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণ হলে শব্দদূষণ কমে যাবে। এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ। উন্নয়নের নামে বাতাস, ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সরাসরি ক্ষতি হতে পারে এমন কর্মকান্ড থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। যখন-তখন রাস্তা খুঁড়ে মাসের পর মাস ফেলে রাখা চলবে না। স্থাপনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট কারখানা, ইস্পাত কারখানা, রি-রোলিং মিল, যানবাহন ও ইটভাটা থেকে যাতে ক্ষতিকর বস্তুকণা নির্গত হতে না পারে, সে জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা জরুরি। এ ছাড়া ঢাকার চারপাশ ঘিরে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইটভাটা। এগুলোর কাজ শুরু হয় নভেম্বর মাস থেকেই। এ সময় বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী এ ইটভাটাগুলো।