জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেছেন, শব্দ ও বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ পরিবহন। কারণ শব্দদূষণে দায়ী পরিবহনের হর্ন, আর বায়ুদূষণে ত্রুটিযুক্ত গাড়ির ইঞ্জিন ও তেল। এর বাইরে দিন-রাত সব সময় কারখানা, ইট ভাঙার মেশিন ও কনস্ট্রাকশন এবং অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি দূষণের জন্য দায়ী। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপগুলো হলো- পরিবহনের হর্ন নিয়ন্ত্রণ করা। আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পাঞ্চল, হাসপাতাল এলাকায় নিয়ম অনুযায়ী হর্ন বাজানো। ইট ভাঙা ও কনস্ট্রাকশনের কাজ দিনের মধ্যে শেষ করা। আর নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে বালি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পরিবহনের পুরনো ইঞ্জিনও বায়ু দূষিত করছে। দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ঢাকায় জনঘনত্ব বেশি। এ জনঘনত্ব কমাতে হবে। এর জন্য সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে, যেখানে জেলাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও চাকরির নিশ্চয়তা বাড়াতে হবে। এই ভারসাম্যতা নিয়ে এলে মানুষ এলাকা থেকে ঢাকায় আসবে না। আর বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়াত। মেট্রোরেল ও নৌপথ উপযুক্ত করতে হবে।