ট্রলিতে আলু পরিবহন নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় জুয়েল ফকির (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর ৪টায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চকেওয়ার ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমশুরার ফকিরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচটি বসতঘরে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
জানা গেছে, ট্রলিতে করে আলু পরিবহন কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য মন্টু দেওয়ান ও তার ভাই ঝন্টু দেওয়ানের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন ফকিরের কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জেরে ঝন্টু দেওয়ান গ্রুপ হামলা চালিয়ে জুয়েল ফকিরকে হত্যা করে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। জুয়েল ফকির ফকিরকান্দি গ্রামের হাফিজ উদ্দিন ফকিরের ছেলে। নিহতের স্বজনরা জানান, ট্রলিতে আলু ওঠানো-নামানো কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য মন্টু দেওয়ান, তার ভাই ঝন্টু দেওয়ান ও তাদের সহযোগী দেলোয়ার, নান্নু হাজি ও মাসুদ গং ভোররাতে গ্রামে অতর্কিত হামলা চালান। মুহুর্মুহু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা গ্রাম পুরুষশূন্য করে ফেলেন। ভয়ে জুয়েল ফকির মসজিদে আশ্রয় নিতে যাওয়ার সময় তাকে ধরে কৃষিজমির মধ্যে নিয়ে গুলি করে ও চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করে। লাশ গুমের চেষ্টা করলে গ্রামের নারীরা একত্রিত হয়ে জুয়েলের লাশ ছিনিয়ে এনে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পূর্বশত্রুতা কেন্দ্র করে এ হত্যা। জুয়েল ফকিরের পায়ে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার মৃত্যু গুলিতে হয়েছে কি না ময়নাতদন্তে যাবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।