চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, অনেক আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে আট লেন করা দরকার ছিল। দেশের স্বার্থে এ মহাসড়কে ডেডিকেটেড কার্গো লেন করতে হবে। বিদ্যমান অবস্থায় আট লেন নির্মাণে কোনো সমস্যা হলে নতুন করে বিকল্প চার লেনের রাস্তা করতে হবে।
সাবেক এই মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্য হচ্ছে পাহাড়-সমুদ্র প্রকৃতি-পরিবেশ। অদূরদর্শীভাবে এসবের ক্ষতি করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণ জরুরি হলেও তা না করে অপরিকল্পিত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে শহরে। নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুরে চার লেন হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম আট লেন হবে, এটা খুব স্বাভাবিক। কেননা চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই সারা দেশে পণ্য পরিবহন হয়। দেশের যে কোনো সড়কের চেয়ে এ সড়কে মানুষ ও পরিবহনের চাপ বেশি। নানা উন্নয়ন প্রকল্প বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে মানুষের আসা-যাওয়া বাড়ছে।
মাহমুদুল ইসলাম বলেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আগেই সড়ক সম্প্রসারণ কাজটি হাতে নেওয়া উচিত ছিল। এখন নিতে গেলে ভূমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ প্রক্রিয়া জটিলতার কারণে মানুষ আরও ১০ বছর কষ্ট পাবে, দুর্ভোগ বাড়বে। উচিত ছিল পূর্ববর্তী সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রকল্প গ্রহণকালে আট লেনের কাজ শুরু করা। এসব প্রকল্প নেওয়ার সময় চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয় বলে মনে হয় না। সাবেক এই মেয়র বলেন, বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিস্বার্থে কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। টাইগার পাস ইতিহাসের অংশ। বিপ্লবের স্মৃতিধন্য। বিপ্লবীরা ব্রিটিশ আমলেই চট্টগ্রামকে তিন দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এ এলাকাটিতে ফ্লাইওভার করে প্রকৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইতিহাসের চিহ্ন ভুলে যাবে। এসব ফ্লাইওভারের চেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সম্প্রসারণ জরুরি।