পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোনো গাড়ি থামানো যাবে না বলে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গতকাল সকালে পুলিশ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ফেব্রুয়ারি/২০২২ এর মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় সব মেট্রোপলিটন কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা যুক্ত ছিলেন।
সভায় এআইজি (ক্রাইম ইস্ট) মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারি মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার, দাঙ্গা, অপহরণ, পুলিশ আক্রান্ত, সিঁধেল চুরি ও চুরি সংক্রান্ত মামলা জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে কমেছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। তবে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা গত বছরের একই সময় অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির তুলনায় অনেক কমেছে। এ ছাড়া, উদ্ধারজনিত মামলা গত জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে মামলার সংখ্যা জানুয়ারি মাসের তুলনায় কমেছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়। সভায় অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, রোজা এবং ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে। তিনি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।