বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
বেতন ও ঈদ বোনাস দাবি

বিক্ষোভ, ভাঙচুর টিয়ার শেল নিক্ষেপ পুলিশের

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে জায়ান্ট গ্রুপের তিন কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের বেশ কয়েকটি গাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর করেছে। পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জিএমপি বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকার শহীদ রওশন আলী সড়কের জায়ান্ট গ্রুপের তিন কারখানা সফি প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ লি., মেভিস গার্মেন্টস  লি. ও জায়ান্ট নিট ফ্যাশনে দেড় সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতা নির্ধারিত তারিখ সোমবার পরিশোধ করা হয়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার কাজে যোগ দিতে শ্রমিকরা সকাল সোয়া ৭টার দিকে কারখানার গেটে এসে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তারা চলতি এপ্রিল মাসের বেতন ভাতাসহ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা চলতি এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা আগামী ১৫ এপ্রিল এবং ঈদ বোনাস ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের দাবি জানায়। তারা প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের ও পিসি কমিটি বাতিলেরও দাবি জানায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিতে পার্শ্ববর্তী কারখানাগুলোতে গিয়ে শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়ে কারখানায় প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় তারা হাসান তানভীর ফ্যাশন লি. ও লিবাস নিটওয়্যার লি. সহ আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনরতরা পার্শ্ববর্তী ঢাকা-গাজীপুর সড়কে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করতে করতে চান্দনা চৌরাস্তার দিকে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং পথচারীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ও ৫ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কারখানার জিএম মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। শ্রমিকদের পাওনাদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, এ ঘটনার পর দুপুরে পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধের আশ্বাস দেন। এ সময় বুধবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর