রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক প্রবাসীর ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- মশিউর রহমান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলাও করেছেন। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে অভিযোগও দিয়েছেন।
ওই প্রবাসী অভিযোগ করেছেন, তার ফ্ল্যাটটি ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৪/এ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়িতে। গত বছরের ৩০ জুন একই বাড়ির আরেক ফ্ল্যাট মালিক খায়রুল এনামের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রিফাত নিলয় জোয়ার্দার তার ভাগিনা, ভগ্নিসহ ৩৫/৪০ জন বহিরাগতকে নিয়ে তার ফ্ল্যাটের কেচি গেটের তালা এবং কাঠের দরজার তালা ভেঙে ফেলে। পরে ফ্ল্যাটটি দখলে নিয়ে নেয়। বিষয়টি ধানমন্ডি থানাকে বারবার জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। অথচ যারাই ফ্ল্যাট দখল করেছেন তারাই তার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছেন। মশিউর রহমান জানিয়েছেন, ২০০৪ সাল থেকে তিনি ওই ফ্ল্যাটে থাকছেন। ফ্ল্যাটের মূল মালিক ওমর ফারুক এবং আবুল মাসরুরের দেওয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে তিনি সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। তারা ২০০৬ সালের মার্চ মাসে তাকে কেনাবেচার অধিকারসহ দেওয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নিটি বাতিল করেন। দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি পাঠানো হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে এই পাওয়ার গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে তারা অত্যন্ত গোপনে ২০১৮ সালে রিফাত নিলয় জোয়ার্দারের নামে আরেকটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করে। অথচ আমাকে দেওয়া ২০০৬ এবং ২০১২ সালের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বাতিল না করে অন্য কাউকে নতুন করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।রিফাত নিলয় জোয়ার্দারকে দেওয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নিকে চ্যালেঞ্জ করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেছেন প্রবাসী মশিউর রহমান। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।