স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি মুহূর্তে এ বাহিনীর কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়। বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন ছাড়াও অপারেশন রেলরক্ষা, মহাসড়কে নাশকতারোধ এবং মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ রুখতে এ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব পালনকালে জননিরাপত্তা বিধানে অবদান রেখে চলছে এই বাহিনী। গতকাল সকালে গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নবনিযুক্ত দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকে আজ অবধি প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা  বাহিনী সবসময়ই কর্মদক্ষতা ও সফলতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মানবসম্পদ তৈরিতে নীরব বিপ্লব সাধন করে চলেছে। কর্মমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের যুবসম্পদের কর্মসংস্থান  তৈরিতে এ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে লাল গালিচায় মোড়ানো সুসজ্জিত খোলা সবুজ জিপে একাডেমির কমান্ড্যান্ট ও প্যারেড কমান্ডার উপ-পরিচালক মো. জাহিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন। পরে প্যারেড ছয় সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। এ সময় বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) এ কে এম জিয়াউল আলম ও বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি। মোট ৪৭ জন নবনিযুক্ত ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্যে ড্রিল-এ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন তোফায়েল আহমেদ, ফায়ারিংয়ে সেরা তানভীর আহমদ আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন তানভীর আহম্মেদ।