শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন দগ্ধ ও আহতরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন ৫৪ জন। তাদের সবার অবস্থা আগের চেয়ে তুলনামূলক ভালো। তবে কম-বেশি সবাইকেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। বিশেষ করে চোখে আঘাত পেয়েছেন- এমন ৬৩ রোগীকে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় থাকতে হবে। চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়ে এরই মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫৫ জন। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা আগের চেয়ে ভালো আছেন। হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা একজনকে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাছাড়া পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজনের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন এবং জেনারেল হাসপাতালে থাকা রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল।  চমেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক ইনসাফি হান্না বলেন, হাসপাতালে নার্সরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে আহত ও দগ্ধদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকে শুরু হওয়া সবার  নিরলস  চেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে।      

ভুড়ি বের হওয়া সেই কবিরের শঙ্কা : সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায় ভোলার চরফ্যাশন এলাকার মো. কবিরের। কেটে যায় হাতের চার আঙুল। শরীর হয়ে যায় রক্তাক্ত। এমন একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। সবারই ধারণা ছিল, তিনি হয়তো বাঁচবেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টায় তিনি বেঁচে ওঠেন। হয় দুই দফা অপারেশন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ২৪ নং সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। কবিরের ৪ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ ৬ সদস্যের সংসার। আগে কাজ করতেন শুঁটকি পল্লীতে। গত সাত বছর ধরে কাজ করেন বিএম ডিপোতে। টানাপড়েনের সংসার। কবিরের স্ত্রী তাসনূর বেগম বলেন, এখন সবাই সাহায্য করছেন। আমার ৬ জনের সংসার। তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্তানরা এখনও ছোট। তিনি তো ভারি কাজ করতে পারবেন না। এখন কিভাবে সংসার চলবে- তা নিয়েই চিন্তিত আমি। চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের এমএস রেসিডেন্স ডা. সৈয়দ আফতাব উদ্দিন বলেন, সময়মতো না এলে রোগীকে বাঁচানো যেত না। তিনি যখন হাসপাতালে আসেন তখন বিপিও নেমে যাচ্ছিল। প্রাথমিক অবস্থায় অস্ত্রোপচার করে অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়। পরের দিন দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেটে জোড়া লাগানো হয়। এখন আগের চেয়ে সুস্থ।

সর্বশেষ খবর