বরিশালের বাবুগঞ্জের ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গেলে অভিযুক্তের বাবা এবং বড় ভাইকেও কুপিয়ে আহত করেন তিনি। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল অভিযুক্ত নান্টুু সিকদারকে (২৮) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের নাম মাহমুদা বেগম (২২)। তিনি পাশর্^বর্তী গৌরনদী উপজেলার কুরিরচর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। গ্রেফতার নান্টু ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামের চাঁনমদ্দিন সিকদারের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার জানান, নান্টু ছয় বছর আগে মাহমুদাকে বিয়ে করেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহের জের ধরে মাহমুদাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতেন নান্টু। কিছুদিন আগে মাহমুদাকে গলা টিপে হত্যারও চেষ্টা করেন নান্টুু। ওই সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের হস্তক্ষেপে প্রাণে বেঁচে যান মাহমুদা। এরপর বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। গত বুধবার মুঠোফোনে খবর দিয়ে স্ত্রীকে নিজ বাড়ি ডেকে আনেন নান্টু। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নান্টুু ধারালো দা নিয়ে স্ত্রীকে ধাওয়া করেন। তাকে রক্ষা করতে গেলে নান্টু তার বাবা চাঁনমদ্দিন সিকদার ও বড় ভাই মিন্টুু সিকদারকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় মাহমুদাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, মাহমুদা হত্যার ঘটনায় তার ভাই নূর আলম খান বাদী হয়ে গতকাল একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মাহমুদার লাশ বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।