মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
বাংলাদেশের সঙ্গে আসাম-মেঘালয়

পর্যটনে বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা, সরাসরি বিমান বাস ট্রেন চালুর প্রচেষ্টা

মুহাম্মদ সেলিম, ভারত থেকে ফিরে

পর্যটনে বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা, সরাসরি বিমান বাস ট্রেন চালুর প্রচেষ্টা

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য আসাম-মেঘালয়ের পর্যটন শিল্প সম্প্রসারণে রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। কিন্তু সরাসরি বিমান, বাস এবং ট্রেন ব্যবস্থা না থাকার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই সম্ভাবনা। অথচ সম্ভাবনাকে পর্যটন শিল্পে কাজে লাগাতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে দুই দেশেরই। যদিও দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ দুই অঞ্চলে সরাসরি বিমান, বাস এবং ট্রেন চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু হচ্ছে বিমান ও বাস চলাচল। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আগামী তিন মাসের মধ্যেই গৌহাটি-ঢাকার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। একই সঙ্গে বন্ধ হওয়া বাস সার্ভিসও চালু হবে। এবার ঢাকা থেকে সিলেট ভায়া ডাউকি-শিলং হয়ে গৌহাটি পর্যন্ত বাস যাবে। ঢাকা-গৌহাটির মধ্যে রেল চলাচলও করবে। বিমান, সড়ক এবং রেলপথ পুরোপুরি চালু হলে পর্যটনের দ্বার উন্মোচিত হবে। পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে লাভবান হবে উত্তরের সাত রাজ্য এবং বাংলাদেশ।’

আসামের গৌহাটির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ভ্রমণ করার মতো অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশি পর্যটকদের সহজেই আকৃষ্ট করবে। ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো ভারতীয়দের আকৃষ্ট করবে। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ কিছু কারণে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় নাগরিকরা। এরই মধ্যে এসব সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের সরকার। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প আরও সম্প্রসারিত হবে।’

জানা যায়, অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম এবং মেঘালয়। পাহাড়, হাতির অন্যতম আবাসস্থল, নানান প্রজাতির পাখিসহ নয়নাভিরাম পর্যটন স্পটের জন্য বিখ্যাত ভারতের সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্ভুক্ত এ দুই রাজ্য। একই ভাবে বাংলাদেশে রয়েছে বিশে^র সর্ববৃহৎ সৈকত কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনসহ বিখ্যাত সব পর্যটন স্পট। এ দুই অঞ্চলের মধ্যে পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণের অন্যতম বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশ থেকে আসাম-মেঘালয়ে যাওয়ার নেই সরাসরি বিমান কিংবা ট্রেন ব্যবস্থা। আকাশ পথেও নেই সরাসরি যোগাযোগ। তাই দুই অঞ্চলের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরকে। যদিও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নানান জটিলতার কারণে এ বন্দর জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দুই দেশের পর্যটকদের কাছে। অথচ দুই দেশের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের সুবিধার্থে ঢাকা থেকে গৌহাটি পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হলে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর চালু হয়নি সেই বাস সার্ভিস।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর