শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

মৌসুমের ইলিশ বাজারে কমেছে দাম

সবজির দর চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌসুমের ইলিশ বাজারে কমেছে দাম

নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইলিশ পেয়ে খুশি আড়তদার ও জেলেরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বছরের মৌসুমের ইলিশ বাজারে এসেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন প্রচুর ইলিশ। দামও কমেছে। তবে এখনো চড়া দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের সবজি। অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। সেই সঙ্গে আলু, পিঁয়াজের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজির দর ৩০ টাকার ওপরে। কোনো কোনো সবজি প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে হঠাৎ করে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না। কাঁচা মরিচের দাম আরও কয়েক দিন চড়া থাকবে। বাজারে শিম আসতে শুরু করেছে। ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। এ ছাড়া গাজর ১৩০-১৪০ টাকা ও পাকা টমেটো ৮০-১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা বেড়েছে বরবটির দাম। গত সপ্তাহে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি ৪০-৫০ টাকা। বেগুনের কেজি ৫০-৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০-৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পটোল ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে করলা ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার  কেজিও ৪০-৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। এদিকে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিন ধরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সাগরে ও নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এতে ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে দাম আরও কমতে পারে। মুরগির বাজারে গিয়ে  দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সোনালি ২৬০-২৮০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের। ১ ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হতে  দেখা গেছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা। প্রতি কেজি শিং ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৬০ টাকা। শোল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। কই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। ঈদের পর এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

সর্বশেষ খবর