দিনাজপুরে অসময়ে দেখা যাচ্ছে আম গাছে মুকুলের সমারোহ। কোনো কোনো ডালে গুটিও ধরেছে। গাছটি রয়েছে দিনাজপুর স্টেডিয়ামের বাউন্ডারির গেটের পাশে। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে থমকে দাঁড়িয়ে একবার হলেও দেখছেন আম গাছটি।
অসময়ের এ আম গাছটিকে ‘কাটিমন’ জাতের বারোমাসি আম বলে জানালেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও লেখক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি আরও বলেন, ‘এ জাতের আম আকারে লম্বা, হলুদ বর্ণের ও মিষ্টি হয়। আমটি আঁশহীন। এ জাতের গাছে একই সঙ্গে মুকুল, ছোট-মাঝারি আমও থাকে। বছরে দুবার আবার কখনো তিনবার ফলন দিতে পারে। কাটিমন আমের জাতটির স্বাদের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। এটি বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। আমাদের দেশেও চাষ শুরু হয়েছে। টবেও এ গাছটি চাষ করা যেতে পারে। দেশে কাটিমন ছাড়াও বারি-১১, কিউজাই, বানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিন, মিয়াজাকি, কিং অব চাকাপাতকে অসময়ের আম বলা হয়। এসব আমের নামও যেমন দেখতেও নজরকাড়া। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে কাটিমন আম চাষে লাভবান হওয়া যাবে।’ ঈদগাহ আবাসিক এলাকার আরমান হোসেন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম গাছে আমের মুকুল, গুটি আমও রয়েছে কোনো ডালে। বাজারে এখন আমের মৌসুম প্রায় শেষ, কিন্তু এ জাতের আম গাছে কেবল মুকুল!’