কক্সবাজারের কটেজ জোনে টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেখানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের ধরে এনে মুক্তিপণ, চাঁদাবাজি ও জিম্মি করা হতো। তা না পেলেই চলত অমানুষিক নির্যাতন। গত রবিবার রাতে এই টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং জড়িত ১১ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থীর বাড়ি কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককুল ও দুই যুবকের বাড়ি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এবং সাতকানিয়ায়।
এ বিষয়ে গতকাল সকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের হলরুমে প্রেস ব্রিফিং করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পূর্বপাশে কটেজ জোনে নিয়মিত নানা অপরাধ ও পর্যটক জিম্মি করে রাখা হয়- এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ‘শিউলি কটেজ’ নামের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে দালালরা পর্যটকদের ফুসলিয়ে নিয়ে এসে মুক্তিপণ আদায় বা চাঁদাবাজি দাবি করত।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগীদের দুজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে রাত কাটানোর জন্য সস্তা কক্ষ খুঁজতে কটেজ জোনে যায়। পথিমধ্যে দালালের খপ্পরে পড়ে। দালালরা কম দামের কক্ষের কথা বলে শিউলি কটেজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাদের আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া দুই যুবককেও একইভাবে নিয়ে গিয়ে কটেজে থাকা খারাপ মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করে। না দেওয়ায় তাদেরও আটকে রাখা হয়।