ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘দেশে দুর্নীতির যে ভয়াবহ অবস্থা, আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি আত্মহত্যা করতেন। খবরের কাগজে দেখলাম, ওয়াসার এমডির বেতন ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু তিনি নেন ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনি দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে। দুর্নীতি লুটপাটের দৃষ্টান্ত এটা। অথচ আমি পানিই পাই না। দুর্গন্ধ নোংরা পানিরও দাম বেড়ে যায়। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র খুঁজে বের করা হোক। সব তথ্য মিলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক, ১৫ আগস্ট কী ঘটেছে। ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৭৩ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাবারা একটু লেখাপড়া করো। অবসর সময়ে বাবা মাকে সাহায্য করো’। তোমরা লেখাপড়া কর কিনা আমি জানি না। কারণ লেখাপড়া করার প্রমাণ হাতে বই, খাতা ও কলম। শ্রেণি কক্ষে অবস্থান, গ্রন্থাগারে অবস্থান, সে দুটো জায়গায় আমি তোমাদের দেখি না। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়, আনুষ্ঠানিকতা হয় কিন্তু আন্তরিকতার বড় অভাব। আমি জানি না তোমরা কেউ বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই পড়েছ কিনা। ছাত্রলীগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, পড়তে হবে, বুঝতে হবে, অন্তরে ধারণ করতে হবে।’