গোপালগঞ্জে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির প্রতিবাদে এবং বিয়ের দাবিতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বিধবা নারী। গতকাল সকালে নাজমা বেগম (৪৭) বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার নিজ বাড়িতে সদর উপজেলার ১৪ নম্বর করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিয়ের দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, ছয় মাস আগে এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) আমার বাড়িতে এসে বলেন, কৈশোর কাল হতে আমি তোমাকে ভালোবাসি, এখনো তোমাকে ভালোবাসি, আর যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন তোমাকে ভালোবেসে যাব। এমন কথা বলে চেয়ারম্যান তার প্রতি আমার বিশ্বাস তৈরি করেন। পরে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তোমার লোকজন নিয়ে আমার নির্বাচন করো এবং নির্বাচনের পর তোমাকে বিয়ে করব।
ওই নারী আরও বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময় সুকৌশলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেয় এবং বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দেন। নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন। সর্বশেষ গত ৩১ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় করপাড়া রুহুল আমিনের পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়ির পুকুরের ঘাটলায় ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে তাকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান আমার মানসম্মান নষ্ট করেছেন; এলাকায় মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তাই আমি বিয়ে করার দাবি করছি। তা না হলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।এ ব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান (সোনা মিয়া) মুঠোফোনে বলেন, আমাকে হেয় করতে নির্বাচনে পরাজিতরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে আমার চেয়ারম্যান পদ চলে যায়। সে জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। ওই নারীর সঙ্গে আমার কোনো দিনই আর্থিক ও শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। তবে নির্বাচনে ওই নারী আমার দল করেছেন, আমার জন্য ভোট চেয়ে আমার পক্ষে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী ১৪ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, গোপালগঞ্জে ১৪ নম্বর করপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের (সোনা মিয়া) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।