ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর মূল অংশে রেলপথের সংযোগের কাজ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া ঢাকা ও ভাঙ্গা রেলপথের কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় সেতুর জাজিরা প্রান্তে সেতুর মূল অংশে রেলপথের কাজ উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সেতুর রেলপথের কাজ তিনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, পরে মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত। গত ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (গতকাল) থেকে পদ্মা সেতুর নিচের অংশের রেলপথের কাজ উদ্বোধন করা হলো।
এর আগে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সকাল ১০টার দিকে সমষপুরের মাওয়া সেনাক্যাম্পে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে সভা করেন। পরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে সেতুর রেলপথের কাজ উদ্বোধন করা হয়। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রেল, সড়ক, পদ্মা সেতু ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।জুনে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলবে : ২০২৩ সালের জুন মাসে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হবে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা নামক স্থানে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে রেললাইনে স্লিপার স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, সিএসসি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জংশনে রেললাইন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী আরও বলেন, ভাঙ্গা থেকে জাজিরা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এ পথে রেলস্লিপার স্থাপনের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ভাঙ্গা রেল জংশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাঙ্গা হয়েই ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, বরিশালে রেল যাবে। দেশের সবচেয়ে আধুনিক রেল জংশন নির্মিত হচ্ছে ভাঙ্গায়।