রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে নিখোঁজ ইয়াশা মৃধা সুকন্যাকে জীবিত ফেরত চায় তার পরিবার। এ-বিষয়ক মামলার তদন্তের গতি না দেখে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ইয়াশার মা নাজমা ইসলাম লাকী।
গতকাল বেল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফিরে পেতে আকুতি জানান তিনি। লাকী বলেন, ‘আমি মেয়ের সন্ধান চাই। আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার মেয়ের নাকি মানসিক সমস্যা! আবার ফোনে মেসেজ আসে আমার মেয়েকে নাকি মিরপুর-১, কখনো মিরপুর-১০, কখনো মিরপুর-১৪-তে দেখা গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজ পাইনি। সংশ্লিষ্ট থানাও বলছে, এ ধরনের মেয়েকে এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়নি। আমি আমার মেয়েকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে চাই। কোনো বিচার চাই না, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাই না।’ লিখিত বক্তব্যে নাজমা ইসলাম লাকী বলেন, ‘আমার স্বামী লন্ডনপ্রবাসী জুনায়েদ জাহাঙ্গীর। আমাদের একমাত্র মেয়ে ইয়াশা চলতি বছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ২৩ জুন তাকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে কলেজে নিয়ে যাই। বেলা সাড়ে ১২টায় মেয়ে কলেজে প্রবেশ করে। বরাবরের মতো আমি কলেজের বাইরে অভিভাবকদের বসার কক্ষে অপেক্ষা করি। পরীক্ষা শেষ হয় ৩টায়।
সব ছাত্রী হল থেকে বেরিয়ে আসে, আমার মেয়ে আসেনি। মেয়ের বান্ধবীদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে না পারায় আমি বিকাল ৪টায় কলেজ কর্তৃপক্ষর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান আমার মেয়ে সেদিন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল! অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আমার মেয়েকে পাইনি। আমার মেয়ের মোবাইল আমার কাছে দিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইয়াশার মামা দিদারুল ইসলাম, চাচা, শিক্ষিকা ও বান্ধবীরা।