বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিরোধী দল নির্মূলের চক্রান্ত করছে সরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশ থেকে বিরোধী দলকে নির্মূলের হীন চক্রান্তে মেতে উঠেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীলনকশা তৈরি করেছে। তারা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আচরণের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।

গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত বিএনপি স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত জানাতে এ বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল। এ বৈঠকে বিরোধী দল নির্মূলের উদ্দেশ্যে সরকারের চক্রান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এ ছাড়া সার্বিক ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পুলিশের গুলিতে নিহত, হেফাজতে মৃত্যু ও হামলা নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিটি ঘটনায় মামলা দায়ের করার জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ে ‘আইনি সেল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বৈঠকে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অংশ নেন। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, বৈঠকে সব হত্যাকাণ্ড, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বেগবান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ আক্রমণ চালিয়েছে সেসব এলাকায় আহত নেতা-কর্মীদের দেখভাল করার জন্য সিনিয়র নেতাদের পাঠানো হবে। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বৈঠকে এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফায় বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এ ধরনের মর্টার শেল নিক্ষেপ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্তে এসব ঘটনা ঘটছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে এখন পর্যন্ত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান না হওয়া এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের কোনো ইতিবাচক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।

 

সর্বশেষ খবর